গ্রাম আদালত বিধিমালা :-
১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত বিধিমালা অধ্যাদেশে ( ১৯৭৬ সালে ৫১ অধ্যাশে ) ১৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে রাষ্ট্র পতি নিন্ম লিখিত বিধিমালা প্রধান করিলেন -
১) এই বিধিমালাকে ১৯৭৬ সনের গ্রাম আদালত বিধিমালা বলিয়া অভিহিত করা যাইতে পারে ।
২) বিষয়ে বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কিছু না থাকিলে এই বিধিমালায়:
(ক) ফরম বলিতে এই বিধিমালার সঙ্গে সংযুক্ত ফরম বুঝাইবে।
(খ) অধ্যাদেশ বলিতে ১৯৭৬ সনে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ বুঝাইবে।
(গ) খন্ড বলিতে অধ্যাদেশের তফসিলের কোন এক খন্ডকে বুঝাইবে।
(ঘ) আবেদকারী বলিতে ঐই ব্যাক্তিকে বুঝাই যিনি অধ্যাদেশের ৪ ধারায় আওয়াতাধীন কোন আবেদন আনায়ন করিয়া থাকেন ।
(ঙ) প্রতিবাদী বলিতে ঐই ব্যাক্তিকে বুঝায় যাহার বিরুদ্ধে ঐই অধ্যাদেশে ৪ ধারা মতে কোন আবেদন আনা হইয়াছে ।
(চ) ধারা বলিতে অধ্যাদেশের ধারা বুঝায় ।
৩) (১) চার ধারায় এক উপধধারায় বর্নিত আবেদন পত্র অবশ্যই লিখিত এবং আবেদন কারী কতৃক স্বাক্ষর যুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট দাখিল করিতে হইবে ।
(২) এক উপবিধিতে বর্নিত আবেদন পত্রে নিন্ম লিখিত তথ্য বলী থাকিতে হইবে :
(ক) যে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করা হইয়াছে উহার নাম;
(খ) আবেদন কারীর নাম,পরিচয় ও বাস স্থান ;
(গ) প্রতিবাদীর নাম,পরিচয় ও বাস স্থান;
(ঘ) যে ইউনিয়ন পরিষদে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে অথবা মামলার কারণ উদ্ভব হইয়াছে তাহার নাম;
(ঙ) অভিযোগ, অভিযোগের ধরন এবং মূল্যায়ন সহ দাবীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং
(চ) প্রার্থীর প্রতিকার।
(৩) এই বিধির আওতাধীন অভিযোগ পত্র অবশ্যই ২ টাকা ফিস সহ দাখিল করিতে হইবে যদি মামলাটি অধ্যাদেশের প্রথম খন্ড সম্পর্কিত হয় এবং ৪ টাকা ফিস যদি উহা ২য় খন্ড সম্পর্কিত হয়।
(৪) ৪ ধারা এক উপধারা মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কতৃক কোন আবেদন পত্র নাকচ হইলে উহা আদেশ সহ আবেদনকারীর নিকট প্রত্যর্পণ করিতে হইবে।
(৫) ১) ৪ ধারার ২ উপধারা মোতাবেক পত্র নাকচের ৩০ দিনের মধ্যে আধি ক্ষেত্রে বিশিষ্ট সহকারী জজের নিকট পুন: বিবেচনার জন্য দায়ের করিতে হইবে।
২) এক উপধারার অধীনে আনীত আবেদন পত্র লিখিত,আবেদন কারী কতৃক স্বাক্ষরীত এবং পক্ষগণের নাম,পরিচয় ও ঠিকানা সহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাতিলকৃত ও প্রত্যার্পিত মূল দরখাস্ত, পুনর্বিবেচনার সংক্ষিপ্ত কারণ সহ উল্লেখ করিতে হইবে।
(৬) ৪ ধারার ২ উপধারার অধীনে সহকারী জজের নিকট কোন আবেদন করা হলে তিনি যদি মনে করেন যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে আদেশ দিয়েছেন তাহা অসদুদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং মূলত:অন্যায় তাহা হইলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আবেদন পত্র গ্রহন করার লিখিত নির্দেশ দিয়া উহা আবেদনকারীকে ফেরত দিবেন।
(৭) ১) আবেদন পত্র গৃহীত হইলে, উহার বিবরণ ১ নং ফরমে রক্ষিত রেজিষ্ট্রি বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং উক্ত রেজিষ্ট্রি বহি অনুযায়ী মামলাটি নম্বর ও সন আবেদন পত্রে লিখিতে হইবে ।
২) ক্ষেত্র বিশেষে উপজেলা হাকিম বা সহকারী জজ কতৃক ৮ ধারার ২ উপধারা অনুসারে কোন মামলা পুনবিবেচনার জন্য পাঠান হলে মামলাটি নতুন করিয়া ১ নং ফরমে রেজিষ্ট্রি বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং নতুন আবেন হিসাবে উহা শুনানী হইবে।
(৮) ৭ বিধি অনুসারে আবেদন পত্র রেজিষ্ট্রি ভুক্ত করার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে আবেদনকারীকে উপস্থিত হইবার নির্দেশ দিবেন এবং বিবাদীকেও ঐ নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে তাহার সামনে হাজির হওয়ার জন্য জারী করিবেন।
আরো গ্রাম আদালত বিধিমালা ১৯৭৬-এ ৯,১০,১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬,১৭,১৮,১৯,২০২১,২২,২৩,২৪,২৫,২৬,২৭,২৮,২৯,৩০,৩১,৩২,৩৩,৩৪,৩৫ ধারা সংরক্ষিত থেকে এখানে সমাপ্ত করলাম।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস