প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব :-
সভ্যতার ক্রমবিকাশের পর থেকে স্থান, কাল, পাত্র ভেদে যুগে যুগে এমন কজন ক্ষনজন্মা মহা পুরুষের জন্ম হয়েছে যারা চিরস্মরনীয তাদের কর্মে ও কীর্তিতে, তাদের নাম সংক্ষেপে প্রকাশিত হল:-
প্রয়াত সংঘরাজ সুগত প্রিয় মহাথের
জন্ম :- ১৯৩২ সাল।
পিতার নাম :- যামিনী রঞ্জন চাকমা ।
মাতার নাম :- সুমিত্রা দেবী চাকমা ।
দায়কের নাম :- ননিলাল চাকমা ।
বিবাহ :- ১৯৫০ সাল ।
বিবাহিত স্ত্রীর নাম :- সুমতি বালা ( টুট্টটুরি ) চাকমা ।
স্ত্রীর মৃত্যু :- ১৯৫২ সাল ।
প্রব্রজ্যা গ্রহন :- ১৯৫৩ সাল ।
উপসম্পদা : ১৯৫৪ সনে ফাল্গুনী পূর্ণিমায় উপসম্পদা লাভ ।
সূত্র বিনয় উপাধি লাভ :- ১৯৬৬ সাল ।
সংঘ নায়ক ও সংঘরাজ বরণ :- ৪, ডিসেম্বর ২০০৮ সাল ।
মহা প্রয়ান :- ২৫শে সেপ্তেম্বর ২০১০ দিবাগত রাত ১২.১০ মি.
স্থান :- বড়াদম ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহার ।
উপসংঘরাজ শ্রীমৎ তিলকান্ন্দ মহাথের (সাদা মনের মানুষ )
জন্ম :- ২৮ আগস্ট ১৯৩৭ সাল ।
দায়কের নাম :- লক্ষ্মী মোহন চাকমা ।
পিতার নাম :- কৃষ্ণমুনি চাকমা ।
মাতার নাম :- সিংহাপুদি চাকমা ।
শিক্ষা :- ৫ম শ্রেনী ।
ত্রিপিটক শাস্ত্র অধ্যয়ন :- বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার অধীনে সুত্ত পরীক্ষায কৃতির্ত্বের সাথে উত্তীর্ণ ।
প্রব্রজ্যা লাভ :- ১৯৫৬ সাল ।
উপসম্পদা লাভ :- ১৯৫৯ সাল ।
কর্ম জীবন :- ১৯৭৩ সালে মগবান শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ রূপে আগমন ।
১৯৮২ সালে কাচালং শিশু সদন প্রতিষ্ঠা করেন ।
১৯৯১ সালে ২৫ শে জুলাই সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয় অধীনে নিবন্ধন লাভ ।
পালি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন :- মগবান স্বধর্ম্মদয় পালি টোল ।
(২) বালুখালী নন্দ সার পালি টোল
(৩) জীবঙ্গছড়া মৈত্রী পালি টোল ।
(৪) বিনা মূল্য চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন ।
কাচালং সার্বজনীন বিদর্শণ ভাবনা কেন্দ্র স্থাপন
উচ্চ শিক্ষা প্রকল্প গ্রহন,পাঠাগার প্রতিষ্ঠা ।
কাজের স্বীকৃতি :-ইউনিলিভার বাংলাদেম লিমিটেড কর্তৃক ২০০৭ সালে সাদা মানুষ হিসাবে স্বর্ণপদক ও এক লক্ষ টাকা পুরস্কার পান।
উপসংঘরাজ হিসেবে অভিষিক্ত :- ২০১০ সাল ।
শ্রীমৎ ধর্ম তিষ্য স্থবির
গৃহী নাম:-অমর কান্তি চাকমা ।
গৃহী পিতা:- সুবিমল চাকমা ।
গৃহী মাতা:- ফুলঙ্গীনি চাকমা ।
গৃহী নিবাস:- গ্রাম-দোখাইয়া,রূপকারী,বাঘাইছড়ি,রাংগামাটি ।
জন্ম সাল :- ১৯৭৩ ইংরেজী ।
প্রবজ্যা লাভ :- ১৯৯৫ ইংরেজী, দীক্ষাগুরু - শ্রীমৎ ভৃগু স্থবির ।
উপসম্পাদা লাভ :- ২৯ শে মে ১৯৯৬ ইংরেজী ।
উপাধ্যায় শুরু :- পরম পূজ্য আর্য মহাপুরুষ অর্হৎ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহা স্থবির (বন ভান্তে )।
উদক সীমা :- রাজ বন বিহার, রাংগামাটি ।
উপাধি প্রাপ্তঃ- লাভী শ্রেষ্ট সীবলী রত্ন।
বন বিহার ও বন ভাবনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা :- শ্রদ্ধেয় ভন্তের ধর্মদেশনায় ধর্ম চক্ষু লাভ করত : উপাসক - উপাসিকাগনের স্ব-উদ্যোগে যে সকল বন বিহার ও ভাবনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো হল (১) পানছড়ি বন বিহার,ও ভাবনা কেন্র (২) অজড় অমর বন ভাবনা কেন্দ্র উল্টাছড়ি,কাউকালী, রাংগামাটি । (৩) স্বর্গপুরী বন বিহার ও ভাবনা কেন্দ্র, কাটাছড়ি,রাংগামাটি । (৪) সাধনা পুর বন বিহার ও লুম্বিনী ভাবনা কুটির,রাংগাপানি ,রাংগামাটি । কজইছড়ি বন ভাবনা কেন্দ্র বাঘাইছড়ি,রাংগামাটি সহ কতিপয় ভাবনা কেন্দ্র ।
ধ্যানচর্চ্যা :- যে মহাপুরুষের আবির্ভাবে সমগ্র বিশ্বের বৌদ্ধ সমাজের স্ব-ধর্ম আচরণ, প্রতিপালন ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রকৃত চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, সেই মহান আর্য পুরুষ শ্রাবক বুদ্ধ অর্হৎ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবিরের (বন ভান্তের) যে কজন ধুতাঙ্গব্রত ধারী বনচারী শিষ্যগন আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম শিষ্য আয়ুষ্মান শ্রীমৎ ধর্মতিষ্য (ধুতাঙ্গধারী ) ভন্তে মহোদয় । প্রবজ্যা লাভের পর হতেই ধুতাঙ্গব্রত গ্রহন, পরিপালন ও গভীর অরন্যে অসীম বীর্য্য সহকারে ধ্যানচর্চার রত থেকে স্বধর্মের উন্নতি,প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে অসীম অবদান রেখে চলেছেন ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস